কুরআন থেকে নেয়া জীবনের পাঠ

mymensingh shop.com

কুরআন থেকে নেয়া জীবনের পাঠ
  • কুরআন থেকে নেয়া জীবনের পাঠ_img_0

কুরআন থেকে নেয়া জীবনের পাঠ

150 BDT
1

পড়ুন

রিজিক তালাশে যারা পার করছে কঠিন সময়,  যাদের ব্যবসাতে মন্দা, সংসারে অসচ্ছলতা,  যাদের সামনে চাকরির দুষ্প্রাপ্যতা কিন্তু তবু তাদের হৃদয় ভর্তি তাওয়াক্কুল।
যৌবনের উন্মুক্ততা সত্ত্বেও যারা বেপরোয়া নয় যারা ফিতনার কঠিন সময়েও নিজের চরিত্রকে হেফাজতের জন্য নিরন্তর লড়াই করে যাচ্ছে ,  যারা সমাজের পাড়া-প্রতিবেশীর পরিবারের হাজারো কটু কথা নিন্দাকে গায়ে মেখে যারা নিজেদেরকে আবৃত করে রাখছে পর্দায়,  সকলের তিরস্কার অপেক্ষা করে যারা মুখে রেখেছে দাড়ি, এই যে অন্তরের এই সমস্ত ভালোকে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কি মূল্যায়ন করবেন না? অবশ্যই করবেন এসবের পেছনে আমাদের যে ত্যাগ সংগ্রাম একদিন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এসবের বিনিময়ে আমাদের অতি অবশ্যই উত্তম প্রতিদান প্রদান করবেন। বিনিময় প্রদানের বেলায় আল্লাহর চাইতে উদার আর কে আছে জগতে?  আমাদের কাজ কেবল অন্তরের আলোটাকে জ্বালিয়ে রাখা। শত ঝড় বাঁধা কোনভাবেই যেআলোটাকে নিভতে না দেওয়া।
অন্তরের অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে স্বাভাবিক থাকে মানুষের জীবন অন্তরে সূকুন  শান্তি বজায় না থাকলে দিন আর দুনিয়া দুটোই বিষাক্ত লাগে। ইবাদত আমলেও মন বসে না অস্থির অস্থির লাগে সবকিছু কিন্তু শত প্রতিকূলতা শত সংখ্যা জীর্ণতার মাঝে যদি অন্তর শান্ত রাখা যায় তাহলে সমস্ত ঝড় ঝাপটাকে অনায়াসে সামনে নেয়া সম্ভব।
জীবনের পরম বাস্তবতা উপলব্ধি করেও আমাদের আয়োজন এর কোথাও কোন ব্যত্যই ঘটে না। আমরা জীবন সাজায় আবার সাজানো জীবন তছনছ হলে দুঃখে কাতর হয়ে পড়ি। জীবনের ভাঙ্গা টুকরোগুলোকে জোড়া লাগায়।  সেগুলো আবার ভাঙ্গে আবার আমরা পরসা সাজাই।  এমন এক অনিবার্য জীবনের চক্রে আমরা জড়িয়ে থাকি যার পতন ঘটে আমাদের মৃত্যুর দিন। যেদিন আমরা জীবনের পাঠ চুকিয়ে অনন্ত জগতে পাড়ি জমাই। সেদিন আমাদের সাজানো সংসার সাজানো আয়োজন থেমে যায়, সেই সংসার সেই আয়োজন থেকে আমিই বরং বাদ পড়ে যাই আমার শূন্যস্থান দখল করে অন্য কেউ।  আমার জীবন চক্রে তখন জড়িয়ে পড়ে অন্য কারো জীবন।
শো অফের দুনিয়ায় আমরা যারা অপরকে মুগ্ধ করার জন্য খেটে-খুটে মরি আমরা আসলে কি পাই দিন শেষে? আর মুসা আলাইহিস সালাম যার প্রত্যুই ছিল কেবল আল্লাহকে মুগ্ধ করা আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন করা । তিনি কি পানি দুনিয়ার ?  এক মনীষি‌ কত সুন্দর বলেছেন , সে কি পেল যে আল্লাহকে হারালো আর সে কি হারালো যে আল্লাহকে পেল ।
মৃত্যুর মাধ্যমে যখন আমরা হারিয়ে যাব দুনিয়া থেকে, যখন পায়ের জনগনন্ত আখিরাতের পথে,তখন আমাদের জন্য হাহাকার করবে জমিনে সেই অংশ, যে অংশে আমি কপাল ঢুকিয়ে আমার মালিক কে সেজদা করতাম, অশ্রু ঝড়াবে আসমানের সেই দরোজা যা দিয়ে আমার আমলগুলো উত্থিত হতো আর নেমে আসতো আমার রিযিক। জীবনের বেলা শেষে যখন আমাদের পদচিহ্ন আর পড়বে না এই দুনিয়ার ধূলো মাটিতে সেই সময়ের জন্য আমরা কি কোন উপলক্ষ তৈরি করে যাচ্ছি। যাতে আমাদের মৃত্যুর পরে জমিন আর আসমানের কোথাও আমাদের জন্য হাহাকার তৈরি হয়
নাকি আমাদের অবস্থা ফেরাউন আর তার বাহিনীর মত যাদের মৃত্যুতে জমিনা ও আসমান কোথাও কোন সাড়া শব্দ করিনি। যাদের জন্য কাঁদে নি আল্লাহর কোন জমিন আর অশ্রুপাত করে নি কোন আসমানী দরজা?

বিভ্রান্ত বিপর্যস্ত ব্যর্থ আর নিরাশাবাদীদের গল্প দুনিয়ার কেউ শুনতে না চাইলেও, দুনিয়ার কেউ তাদের কথা না রাখলেও , আমরা এমন এক জন্য রবের ইবাদত করি, যিনি সকলের কথা সমান ভাবে আগ্রহভরে শোনেন‌।