EN
হৃদয় জুড়ানো সালাত
বাতিঘর পাঠশালা লাইব্রেরী https://t.me/+k6YVZIv2qLowNjJl
mymensingh shop.com
Category List
All products

আল্লাহু আকবার বলার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে একটি কথোপকথন শুরু করে আমরা। কখনো কি ভেবে দেখেছেন আমরা কেন আল্লাহু আকবার বলে সালাত শুরু করি। আল্লাহু আকবর বলে আমরা সাক্ষ্য দেই যে অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে আল্লাহর বড়ত্ব মহত্ব অনেক অনেক বেশি। আমাদের চাকরি ব্যবসা ঘুম টাকা পরিবার সন্তান শত কাজ এবং ব্যস্ততার চেয়েও অনেক বেশি। তাই আল্লাহু আকবার বলে আমরা আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে দুটি হাত তুলি।
যেই মুহূর্তে আপনি আল্লাহু আকবার ঘোষণা করেন ঠিক তখন থেকে আল্লাহর চেহারা আপনার প্রতি পূর্ণরূপে নিপৃষ্ট। তারপর দা সরিয়ে দেন।
আপনি ভিমুখ না হলে তিনিও মুখ ফিরিয়ে নেন না। আপনার এই ভিমুকথা শারীরিক ও হতে পারে। হতে পারে আর্থিক । হতে পারে আপনি এদিক ওদিক মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন অথবা আপনার মন ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রার্থীব ব্যাপারে। এইকথা শুরু হওয়া মাত্রই আল্লাহ ডেকে বলেন আমার চেয়েও উত্তম কিছুর দিকে মুখ ফেরাচ্ছ। তখন আদেশ করেন আবার সেই আবরণ নামিয়ে দেয়ার।
মনে করুন আপনার দিকে ঘুরে আছে ক্যামেরা। তাতে টকটকে লাল রঙের একটি বাতি জানান দিচ্ছে সরাসরি সম্প্রচার। কেমন লাগবে তখন সালাতে। আল্লাহু আকবার বলার সাথে সাথে সেই বাতিটি জ্বলে উঠেছে কিন্তু আপনার দর্শক সাধারণ কোন মানুষ নয় সারা জগতের মালিক দেখছেন আপনাকে তারই তত্ত্বাবধানে সারা জগৎ চলছে ও চলবে। ছোট বড় কোন কিছুই তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয় এবার বলুন কেমন লাগছে পালাতে । প্রবলভাবে ধুকপুক করছে না হৃদপিণ্ডটা।
আল্লাহু আকবার বলার পর এবার তেলাওয়াতের দিকে এগোচ্ছেন। আর আপনার দেহমন সংঘটিত প্রতিটি গুনাহ বেয়ে উঠতে শুরু করেছে আপনার কাঁধে ও মাথায়। প্রত্যেকটি রুকু ও সেজদার সময় একে একে বেয়ে পড়ে যাবে তারা। স্বভাবতই রুকু সিজদা লম্বা করার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠা উচিত আমাদের।
সালাতে যাদের সত্যিকার অর্থে মনোযোগ থাকে, তারা সালাতে শান্তি পাই পানিতে থাকা মাছের মত। আর যাদের মনোযোগ থাকে না তারা যেন খাঁচায় বন্দি পাখির মত অস্থির।
দেখুন, দুনিয়ার জীবন কষ্ট আর ব্যথায় ভরা। এই হাসি, তো এই কান্না। এর দাবিদাওয়া আমাদের তৃষ্ণার্ত ও ক্লান্ত করে ছাড়ে। এই তৃষ্ণা মেটাতে সালাতের চেয়ে ভালো আর কি আছে বলুন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ঠিক মত রুকু পূর্ণ করে না, সে যেন অনাহারে একটি দুটি খেজুর খাওয়া ব্যক্তির মত।
তাই আসুন রুকু ও সিজদায় প্রশান্ত খুঁজি।
দিনে কমপক্ষে সতেরবার আমরা রুকু করি, প্রতিটি বারেই যেন বৃদ্ধি পায় আল্লাহর প্রতি আমাদের ভালোবাসা। আপনি তাকে সাধ্যমত ভালবাসলে তিনি আপনাকে ভালোবাসবেন তার মর্যাদা অনুপাতে, স্রষ্টায় যদি ভালোবাসে সৃষ্টির তবে কি কোন স্যাধ্যি ক্ষতি করার।
আমাদের অন্তর যদি যথাযথভাবে পরিষ্কার থাকত, তাহলে কখনো আল্লাহকে ভুলতেই পারতাম না। মনে রাখবেন, তেলাওয়াতের পরিমাণ নয়; মান বিবেচ্য। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার অশ্রুভেজা নয়নে একটি আয়াত তেলাওয়াত করেই সারা রাত কাটিয়ে দিয়েছেন।
আপনি যদি তাদের শাস্তি দেন তবে তো তারা আপনার ওই বান্দা আর যদি ক্ষমা করে দেন আপনি তো এমনিতেই মহা শক্তিধর ও প্রজ্ঞাময়। ( সূরা মাইদা আয়াত ১২৮। )
আসুন প্রশংসা করেই চলি করেই চলি। মহান রবের যথাযথ প্রশংসা তো আর সারা জীবন করতে পারব না আমরা। যতটুকু সাধ্য তার সবটুকু করতে পারায় সান্তনা।
সিজদা আসলে কী ? এই কাজটা আমরা অনেকেই রোবটের মত করেই চলেছি বছরের পর বছর। তাই বুঝে উঠতে পারি না এর শক্তিশালী প্রভাব । হৃদয় না লাগালে সালাতের কোন অংশেরই স্বাদ পাবো না আমরা।
সিজদা মানে নিজের সবচেয়ে দামি সবচেয়ে সম্মানিত জিনিসটিকে চরম লাঞ্ছনার শিকার বানানো। চেহারাকে মাটিতে লোটানো। যেন আল্লাহকে বলা হচ্ছে হে প্রতিপালক নিজের সম্পন্ন অস্তিত্ব আপনার কাছে সমর্পণ করে দিলাম।
হৃদয় যদি সিজদা করে, তাহলে সিজদা থেকে আপনি উঠবেন এক বিশেষ নূর সহকারে। এটি আল্লাহর দয়া ও নূরের চিহ্ন। চেহারায় তা ফুটিয়ে তুলে বিনয় ও দয়াশীলতা। এরকম শান্তি সুস্থিরতা আর কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। তাই রবের নিকটবর্তী যদি হতে চান, ছোট হোন আগে। তনু মন-প্রাণ দিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ুন। আচ্ছাদন করুন আসল সুখ।
ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক কোনটি জানেন? তা হল অন্তরের একনিষ্ঠতা । আমরা যা করছি এবং যা করব সবই শুধু আল্লাহর জন্য আর কারো জন্য নয়। তার সন্তুষ্টি একমাত্র আমাদের কাম্য । নিয়তের এই বিশুদ্ধতা ছাড়া ইবাদত করা মানে বালুর বস্তা নিয়ে ভ্রমণে বের হওয়া মত।
কাঁদে অনেক ওজন কিন্তু সবটাই যেন অযথা বোঝা ছাড়া আর কিছু নয়।
সালাতের প্রতি রাকাতে একটি করে রুকু, কিন্তু সিজদা দুটি। কেন? সিজদা সালাতের এতই গুরুত্বপূর্ণ রুকুন যে, তা দুইবার করা হয়। একবার যেন যথেষ্ট নয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদাকে অনেক লম্বা করতেন। আল্লাহর সাথে অমূল্যতম সময়গুলোকে উপভোগ করে নিতেন পুরোপুরি।
সালাতকে অনুভব করতে হলে অন্তরকে সালাতে মগ্ন রাখতে হবে । এ কোন কঠিন কাজ নয়। সেফ দশটা মিনিট আল্লাহর প্রতি আপনার ভালোবাসা নিয়ে একটু ভাবুন । ভুলে যান দুনিয়াকে এসবের জন্য আরো ২৩ ঘণ্টা সময় পাবেন।
কি করছি কি বলছি তা বুঝতে পারলে মনোযোগ অটুট থাকে। আল্লাহ যেহেতু মনোযোগ দিয়ে সালাত আদায়ের আদেশ করেছেন, তার মানে তা আমাদের সাধ্যের মাঝেই আছে । সালাতে যে শুধু একাগ্র অংশটুকুরই সাওয়াব পাওয়া যায় জানেন । দুই ঘণ্টার মুভি দেখতে বা পরীক্ষা দিতে তো আমরা মনোযোগ হারাই না । আর যে আল্লাহর উপাসনা করে দুনিয়ার প্রতিটি জিনিস তার প্রতি দশটা মিনিট মন দিতে পারব না ? আল্লাহর কাছে সাহায্য চান কেবল । যেন এক সময় গিয়ে ইচ্ছে হয় অনন্তকাল ধরে সালাত আদায় করার।
নিশ্চয়ই মুমিনরা সফল যারা তাদের সালাতে বিনয় নম্র।
সূরা মুমিন আয়াত ১ ২।
সালাতের এই রহস্য গুলো আপনাকে খুশু খুজু অর্জনে সাহায্য করবে। এ দুনিয়াই সালাতের মিষ্টতা অনুভব ও আখিরাতে এর প্রতিদান পাওয়ার জন্য যে বিনয় ও একাগ্রতা প্রয়োজন তাকে খুশু বলে। সালাতের এই খুশু কেড়ে নিতে শয়তান সদা প্রস্তুত। তাইতো সালাত শুরু করতেই মনে পড়ে যায়, দুনিয়ার তাপদ ও প্রয়োজনীয় কাজকর্ম। চুর কখনো কখনো রাজপ্রাসাদে হানা দেয় না। কারণ তা কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী। গরিবের ঘরেও যায় না কারণ তা খালি। সে চুপচুপ করে বড়লোকের ঘরে যাই যেখানে সম্পদ থাকলেও প্রহরী নেই । আপনিও তাই আপনি ধনি কারণ আপনার খুশু খুযু আছে কিন্তু তার জন্য নেই সর্বোচ্চ মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাই শয়তান বারবার মন সড়িয়ে দিয়ে আপনার সালাতের দাম কমিয়ে দিতে চাই । কিন্তু এতক্ষণ ধরে যা জানলেন তা প্রয়োগ করলে এই বাধা বিপত্তিগুলো টপকানো সহজ হবে আপনার সালাতের।
পৃথিবী এত উন্নত শিখরে পৌঁছানোর পেছনে একদল মেধাবী মানুষের সময় অনুপাতে অক্লিতিম পরিশ্রম করার সুফল।
অনুরূপ সালাফগণ বুঝেছেন যে, জীবনের আসল সফলতা কোথায় রয়েছে তাই তারা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছেন।
হৃদয় জুড়ানো সালাত
120 BDT
1
আল্লাহু আকবার বলার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে একটি কথোপকথন শুরু করে আমরা। কখনো কি ভেবে দেখেছেন আমরা কেন আল্লাহু আকবার বলে সালাত শুরু করি। আল্লাহু আকবর বলে আমরা সাক্ষ্য দেই যে অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে আল্লাহর বড়ত্ব মহত্ব অনেক অনেক বেশি। আমাদের চাকরি ব্যবসা ঘুম টাকা পরিবার সন্তান শত কাজ এবং ব্যস্ততার চেয়েও অনেক বেশি। তাই আল্লাহু আকবার বলে আমরা আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে দুটি হাত তুলি।
যেই মুহূর্তে আপনি আল্লাহু আকবার ঘোষণা করেন ঠিক তখন থেকে আল্লাহর চেহারা আপনার প্রতি পূর্ণরূপে নিপৃষ্ট। তারপর দা সরিয়ে দেন।
আপনি ভিমুখ না হলে তিনিও মুখ ফিরিয়ে নেন না। আপনার এই ভিমুকথা শারীরিক ও হতে পারে। হতে পারে আর্থিক । হতে পারে আপনি এদিক ওদিক মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন অথবা আপনার মন ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রার্থীব ব্যাপারে। এইকথা শুরু হওয়া মাত্রই আল্লাহ ডেকে বলেন আমার চেয়েও উত্তম কিছুর দিকে মুখ ফেরাচ্ছ। তখন আদেশ করেন আবার সেই আবরণ নামিয়ে দেয়ার।
মনে করুন আপনার দিকে ঘুরে আছে ক্যামেরা। তাতে টকটকে লাল রঙের একটি বাতি জানান দিচ্ছে সরাসরি সম্প্রচার। কেমন লাগবে তখন সালাতে। আল্লাহু আকবার বলার সাথে সাথে সেই বাতিটি জ্বলে উঠেছে কিন্তু আপনার দর্শক সাধারণ কোন মানুষ নয় সারা জগতের মালিক দেখছেন আপনাকে তারই তত্ত্বাবধানে সারা জগৎ চলছে ও চলবে। ছোট বড় কোন কিছুই তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয় এবার বলুন কেমন লাগছে পালাতে । প্রবলভাবে ধুকপুক করছে না হৃদপিণ্ডটা।
আল্লাহু আকবার বলার পর এবার তেলাওয়াতের দিকে এগোচ্ছেন। আর আপনার দেহমন সংঘটিত প্রতিটি গুনাহ বেয়ে উঠতে শুরু করেছে আপনার কাঁধে ও মাথায়। প্রত্যেকটি রুকু ও সেজদার সময় একে একে বেয়ে পড়ে যাবে তারা। স্বভাবতই রুকু সিজদা লম্বা করার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠা উচিত আমাদের।
সালাতে যাদের সত্যিকার অর্থে মনোযোগ থাকে, তারা সালাতে শান্তি পাই পানিতে থাকা মাছের মত। আর যাদের মনোযোগ থাকে না তারা যেন খাঁচায় বন্দি পাখির মত অস্থির।
দেখুন, দুনিয়ার জীবন কষ্ট আর ব্যথায় ভরা। এই হাসি, তো এই কান্না। এর দাবিদাওয়া আমাদের তৃষ্ণার্ত ও ক্লান্ত করে ছাড়ে। এই তৃষ্ণা মেটাতে সালাতের চেয়ে ভালো আর কি আছে বলুন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ঠিক মত রুকু পূর্ণ করে না, সে যেন অনাহারে একটি দুটি খেজুর খাওয়া ব্যক্তির মত।
তাই আসুন রুকু ও সিজদায় প্রশান্ত খুঁজি।
দিনে কমপক্ষে সতেরবার আমরা রুকু করি, প্রতিটি বারেই যেন বৃদ্ধি পায় আল্লাহর প্রতি আমাদের ভালোবাসা। আপনি তাকে সাধ্যমত ভালবাসলে তিনি আপনাকে ভালোবাসবেন তার মর্যাদা অনুপাতে, স্রষ্টায় যদি ভালোবাসে সৃষ্টির তবে কি কোন স্যাধ্যি ক্ষতি করার।
আমাদের অন্তর যদি যথাযথভাবে পরিষ্কার থাকত, তাহলে কখনো আল্লাহকে ভুলতেই পারতাম না। মনে রাখবেন, তেলাওয়াতের পরিমাণ নয়; মান বিবেচ্য। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার অশ্রুভেজা নয়নে একটি আয়াত তেলাওয়াত করেই সারা রাত কাটিয়ে দিয়েছেন।
আপনি যদি তাদের শাস্তি দেন তবে তো তারা আপনার ওই বান্দা আর যদি ক্ষমা করে দেন আপনি তো এমনিতেই মহা শক্তিধর ও প্রজ্ঞাময়। ( সূরা মাইদা আয়াত ১২৮। )
আসুন প্রশংসা করেই চলি করেই চলি। মহান রবের যথাযথ প্রশংসা তো আর সারা জীবন করতে পারব না আমরা। যতটুকু সাধ্য তার সবটুকু করতে পারায় সান্তনা।
সিজদা আসলে কী ? এই কাজটা আমরা অনেকেই রোবটের মত করেই চলেছি বছরের পর বছর। তাই বুঝে উঠতে পারি না এর শক্তিশালী প্রভাব । হৃদয় না লাগালে সালাতের কোন অংশেরই স্বাদ পাবো না আমরা।
সিজদা মানে নিজের সবচেয়ে দামি সবচেয়ে সম্মানিত জিনিসটিকে চরম লাঞ্ছনার শিকার বানানো। চেহারাকে মাটিতে লোটানো। যেন আল্লাহকে বলা হচ্ছে হে প্রতিপালক নিজের সম্পন্ন অস্তিত্ব আপনার কাছে সমর্পণ করে দিলাম।
হৃদয় যদি সিজদা করে, তাহলে সিজদা থেকে আপনি উঠবেন এক বিশেষ নূর সহকারে। এটি আল্লাহর দয়া ও নূরের চিহ্ন। চেহারায় তা ফুটিয়ে তুলে বিনয় ও দয়াশীলতা। এরকম শান্তি সুস্থিরতা আর কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। তাই রবের নিকটবর্তী যদি হতে চান, ছোট হোন আগে। তনু মন-প্রাণ দিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ুন। আচ্ছাদন করুন আসল সুখ।
ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক কোনটি জানেন? তা হল অন্তরের একনিষ্ঠতা । আমরা যা করছি এবং যা করব সবই শুধু আল্লাহর জন্য আর কারো জন্য নয়। তার সন্তুষ্টি একমাত্র আমাদের কাম্য । নিয়তের এই বিশুদ্ধতা ছাড়া ইবাদত করা মানে বালুর বস্তা নিয়ে ভ্রমণে বের হওয়া মত।
কাঁদে অনেক ওজন কিন্তু সবটাই যেন অযথা বোঝা ছাড়া আর কিছু নয়।
সালাতের প্রতি রাকাতে একটি করে রুকু, কিন্তু সিজদা দুটি। কেন? সিজদা সালাতের এতই গুরুত্বপূর্ণ রুকুন যে, তা দুইবার করা হয়। একবার যেন যথেষ্ট নয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদাকে অনেক লম্বা করতেন। আল্লাহর সাথে অমূল্যতম সময়গুলোকে উপভোগ করে নিতেন পুরোপুরি।
সালাতকে অনুভব করতে হলে অন্তরকে সালাতে মগ্ন রাখতে হবে । এ কোন কঠিন কাজ নয়। সেফ দশটা মিনিট আল্লাহর প্রতি আপনার ভালোবাসা নিয়ে একটু ভাবুন । ভুলে যান দুনিয়াকে এসবের জন্য আরো ২৩ ঘণ্টা সময় পাবেন।
কি করছি কি বলছি তা বুঝতে পারলে মনোযোগ অটুট থাকে। আল্লাহ যেহেতু মনোযোগ দিয়ে সালাত আদায়ের আদেশ করেছেন, তার মানে তা আমাদের সাধ্যের মাঝেই আছে । সালাতে যে শুধু একাগ্র অংশটুকুরই সাওয়াব পাওয়া যায় জানেন । দুই ঘণ্টার মুভি দেখতে বা পরীক্ষা দিতে তো আমরা মনোযোগ হারাই না । আর যে আল্লাহর উপাসনা করে দুনিয়ার প্রতিটি জিনিস তার প্রতি দশটা মিনিট মন দিতে পারব না ? আল্লাহর কাছে সাহায্য চান কেবল । যেন এক সময় গিয়ে ইচ্ছে হয় অনন্তকাল ধরে সালাত আদায় করার।
নিশ্চয়ই মুমিনরা সফল যারা তাদের সালাতে বিনয় নম্র।
সূরা মুমিন আয়াত ১ ২।
সালাতের এই রহস্য গুলো আপনাকে খুশু খুজু অর্জনে সাহায্য করবে। এ দুনিয়াই সালাতের মিষ্টতা অনুভব ও আখিরাতে এর প্রতিদান পাওয়ার জন্য যে বিনয় ও একাগ্রতা প্রয়োজন তাকে খুশু বলে। সালাতের এই খুশু কেড়ে নিতে শয়তান সদা প্রস্তুত। তাইতো সালাত শুরু করতেই মনে পড়ে যায়, দুনিয়ার তাপদ ও প্রয়োজনীয় কাজকর্ম। চুর কখনো কখনো রাজপ্রাসাদে হানা দেয় না। কারণ তা কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী। গরিবের ঘরেও যায় না কারণ তা খালি। সে চুপচুপ করে বড়লোকের ঘরে যাই যেখানে সম্পদ থাকলেও প্রহরী নেই । আপনিও তাই আপনি ধনি কারণ আপনার খুশু খুযু আছে কিন্তু তার জন্য নেই সর্বোচ্চ মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাই শয়তান বারবার মন সড়িয়ে দিয়ে আপনার সালাতের দাম কমিয়ে দিতে চাই । কিন্তু এতক্ষণ ধরে যা জানলেন তা প্রয়োগ করলে এই বাধা বিপত্তিগুলো টপকানো সহজ হবে আপনার সালাতের।
পৃথিবী এত উন্নত শিখরে পৌঁছানোর পেছনে একদল মেধাবী মানুষের সময় অনুপাতে অক্লিতিম পরিশ্রম করার সুফল।
অনুরূপ সালাফগণ বুঝেছেন যে, জীবনের আসল সফলতা কোথায় রয়েছে তাই তারা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছেন।